এক নজরে উপজেলা |
|
ভৌগলিক পরিচিতি |
১১টি ইউনিয়ন নিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা গঠিত।ভেৌগলিকভাবে ২৪.২১ ও ২৪.৩২ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৪২ ও ৯০.৫২ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার অবস্থান। উপজেলাটির আয়তন ১৯৩.৭৩ বর্গকিলোমিটার । উপজেলাটির উত্তরে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়া্ইল উপজেলা, দক্ষিণে পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদি উপজেলা, পূর্বে করিমগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে হোসেনপুর উপজেলা । |
উপজেলারপটভূমি |
ইতিহাসখ্যাত বীর বারভূঞা প্রধান মসনদে আলা ঈশা খা, বাংলা সাহিত্যের আদি মহিলা কবি চন্দ্রাবতী, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাংবাদিক ও সাহিত্যিক নিরোদ সি. চেৌধুরী সহ অসংখ্য কীর্তিমান পুরুষ ও মহিলার স্মৃতিধন্য জন্মভূমি এ কিশোরগঞ্জ। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাবে কিশোরগঞ্জ নামকরণ হয়েছে। বিখ্যাত প্রামানিক পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা কৃষ্ণদাস প্রামানিকের ৬ষ্ঠপুত্র ব্রজ কিশোর প্রামানিক নরসুন্দা নদীর দুই তীরে ’’গঞ্জ” প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রজকিশোর প্রামানিকের ‘কিশোর’ এবং তার প্রতিষ্ঠিত ‘গঞ্জ’ এ দুইয়ের সমন্বয়ে জনপদের নাম কিশোরগঞ্জ । অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৮৪৫খ্রি: থেকে ১৮৬০ খ্রি: এ ১৫ বৎসরেরযে কোন এক সময় কিশোরগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অত:পর ১৯৮৪ সালে উপজেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। |
ইউনিয়ন সমূহ |
১১টি ইউনিয়ন নিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা গঠিত। ইউনিয়ন সমূহ যথাক্রমে রশিদাবাদ,লতিবাবাদ,মাইজখাপন, মহিনন্দ,যশোদল, বেৌলাই, বিন্নাটি, মারিয়া, চেৌদ্দশত,কর্শাকড়িয়াইল ও দানাপাটুলী । |
উপজেলারঐতিহ্য |
|
ভাষা ও সংস্কৃতি |
সংস্কৃতির দিক থেকে কিশোরগঞ্জের রয়েছে গেৌরবোজ্জল ঐতিহ্য । বিশেষ করে লোক সংস্কৃতির এক বিশাল ভান্ডার হচ্ছে কিশোরগঞ্জ। এ উপজেলার আঞ্চলিক মেয়েলি গীত, লোককাহিনী, লোকবিশ্বাস, লোকসংস্কার,পালাগান ও লোকসাহিত্য সমগ্র বাংলা সাহিত্যে এক বিশাল স্থান দখল করে আছে। আঞ্চলিক লোক সংস্কৃতির অন্যতম অংশ আঞ্চলিক লোকসংগীত। |
মুক্তিযুদ্ধও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা (ইউনিয়ন ভিত্তিক) |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা: বাংলাদেশের এমন কোন জনপত নেই, ১৯৭১ সালে যেখানে হানাদার পাকবাহিনী বাংগালীদের নির্বিচারে হত্যা করেনি। লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন এ সবই ছিল দখলদার পাকবাহিনীর ৯মাসের নৈমিত্তিক কাজ। মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণকারী প্রতিটি মানুষের স্ব স্ব ক্ষেত্রের অবদান মুক্তিযুদ্ধকে করেছে মহিমান্বিত ।মুক্তিযুদ্ধ এ জন্য বাংগালীর শ্রেষ্ট বীরত্বগাথা। মহান যুক্তিযুদ্ধে সদর উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতার উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। অগনিত সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অকাতরে আত্মাহুতি দিয়েছেন।সদর উপজেলাধীন বত্রিশ মনিপুরঘাট ও মুকসেদপুরস্থ বড়পুলের নিকট বধ্যভূমি রয়েছে। তাছাড়া মহিনন্দ ইউনিয়নের ক্ষিরদগঞ্জ বাজারের নিকট ও কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নে বড়ইতলা নামক স্থানে বধ্যভুমিতে জেলা পরিষদের অর্থায়নে স্মৃতিসেৌধ নির্মান করা হয়েছে। এ উপজেলায় মোট ৭টি বধ্যভূমি রয়েছে।
|
দর্শনীয়স্থান |
এ উপজেলায় উল্লেখ্ যোগ্য কোন দর্শনীয় স্থান নেই। তবে উপজেলা সদর হতে প্রায় ৬ কিমি দুরে মাইজখাপন ইউনিয়নের পাতুয়াইর গ্রামে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগীয় আদি মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর জন্মস্থান। ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ, বত্রিশ প্রামানিক বাড়ীর ঐতিহাসিক পুকুর, ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ও শহীদি মসজিদ রয়েছে। |
প্রখ্যাতব্যক্তিত্ব |
নাম ও অবদান প্রয়াত আনন্দ কিশোর মজুমদার- ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন কর্র্মী। প্রয়াত ওয়ালীনেওয়াজ খান- ঐ মো: আসাদুর রহমান চেৌধুরী- সাবেক সচিব। নির্মলেন্দু ধর- বিচারপতি,সুপ্রিম কোর্ট। অধ্যাপক রফিকুর রহমান চেৌধুরী- অনুবাদক অধ্যাপক প্রানেশ কুমার চেৌধুরী- কবি ও অনুবাদক মরহুম লে:কর্ণেল এটিএম হায়দার- বীরউত্তম, সেক্টর কমান্ডার। ডা: ক্যাপ্টেন(অব:)সিতারা বেগম- বীরপ্রতিক। দ্বিজবংশী দাস- ভাসান কবি। চন্দ্রাবতী- মধ্যযুগের মহিলা কবি। আজহারুল ইসলাম- কবি । এম,এ,কাইয়ুম- প্রাবন্ধিক ও চিত্রশিল্পী । প্রয়াত দেবব্রত বিশ্বাস- রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী । পুলক মজুমদার- নজরুল সংগীত শিল্পী । বিপুল ভট্টাচার্য্য - লোকসংগীত শিল্পী । শামীম আরা নিপা- নৃত্য শিল্পী । ড. অসিত রায়- উচ্চাংগ সঙ্গীত শিল্পী । |
খেলাধুলাওবিনোদন |
|
প্রাকৃতিকসম্পদ |
এ উপজেলায় কোন খনিজ সম্পদ, বালুমহাল, পাথরমহাল নেই। তেমন কোন নির্দিষ্ট বন এলাকা নেই। তবে ধান,পাট, গমের আবাদ হয়ে থাকে। |
নদ-নদী |
এ উপজেলায় ২(দুই)টি নদী বিদ্যমান। নরসুন্দা ও ধলেশ্বরী । নরসুন্দা নদীটি কিশোরগঞ্জ শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত এবং প্রায় ৪০ কিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ধলেশ্বরী নদী এ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত। |
ব্যবসা-বাণিজ্য |
জেমিনি টেক্সটাইল মিল,কিশোরগঞ্জ ফ্লাওয়ার মিল ও কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিল ৩টি শিল্প কারখান আছে। তাছাড়া মারিয়া নামক স্থানে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠেছে। সেখানে ছোট বড় কয়েকটি শিল্প কারখানা আছে। |
হোটেলওআবাসন |
হোটেল : গাংচিল, ফুড ক্যাসেল, ঢাকা বিরানি হাউস,ক্যাসেল সালাম,গ্রামবাংলা, ইষ্টি কুটুম উল্লেখযোগ্য। মিষ্টির দোকান : লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার, মদন গোপাল সুইট কেবিন, রাজমনি মিষ্টান্ন ভান্ডার, গেৌর গোবিন্দ সুইট কেবিন, ফুড ক্যাসেল সুইটমিট উল্লেখযোগ্য। আবাসিক : হোটেল নিরালা. ক্যাসেল সালাম ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল মোবারক, হোটেল প্রিন্স উল্লেখযোগ্য। |
যোগাযোগব্যবস্থা |
ইউনিয়ন সদর থেকে উপজেলা সদর এবং উপজেলা সদর থেকে জেলা সদরে যোগাযোগের জন্য পাকা রাস্তা, কাচা রাস্তা রয়েছে। মোট পাকা রাস্তা- ১৩০ কিমি । মোট কাচা রাস্তা- ৬০৫ কিমি। |
পত্রপত্রিকা |
দৈনিক আজকের দেশ, দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠ, দৈনিক কিশোরগঞ্জ, দৈনিক সারাদিন উল্লেখযোগ্য। |
হাটবাজার |
হাটবাজারের নাম ও অবস্থান : শ্যামরায়ের বাজার- রশিদাবাদ সাদুল্লাচর বাজার- লতিবাবাদ লক্ষীগঞ্জ বাজার- লতিবাবাদ নীলগঞ্জ পুরান বাজার- মাইজখাপন নীলগঞ্জ সমবায় বিপনীকেন্দ্র বাজার- মাইজখাপন মিলনগঞ্জ বাজার- মাইজখাপন আমিরগঞ্জ বাজার- মহিনন্দ ক্ষিরদা বাজার- মহিনন্দ গোসাইর বাজার- যশোদল লিয়াকতগঞ্জ বাজার- বেৌলাই কাঠালিয়া বাজার- বেৌলাই । জালিয়া বাজার- বেৌলাই । পুলেরঘাট বাজার- চেৌদ্দশত পুলেরঘাট লিচু বাজার- চেৌদ্দশত চেৌদ্দশত বাজার- চেৌদ্দশত কর্শাকড়িয়াইল নতুন বাজার- কর্শাকড়িয়াইল কর্শাকড়িয়াইল বানিয়া বাজার- কর্শাকড়িয়াইল কাচারী বাজার- পেৌরসভা বড় বাজার- পেৌরসভা পুরানথানা বাজার- পেৌরসভা ইচ্ছাগঞ্জ গরু বাজার- পেৌরসভা মোরগ মহাল - পেৌরসভা । |
|
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস