কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন কোর্ট রোডে আলোরমেলা নামক স্থানে চোখে পড়বে বিশাল বিশাল মেহগনি, সেগুন গাছ, যেন এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে-আর এর ফাঁকে ফাঁকেই আম্র পলস্নবের লুকোচুরি। আর এই ঘন সবুজের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে একটি দ্বিতল ভবন। যার দেয়ালে বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘‘সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়’’। এর পশ্চিম পাশে রয়েছে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার বিশাল দীঘি, পূর্ব পাশে পীচঢালা মসৃণ পথ এঁকে বেঁকে চলে গেছে অনেক দূর। উত্তর-দক্ষিণে রয়েছে আবাসিক এলাকা। বিভিন্ন গাছের শীতল পরশে রঙ-বেরঙের পাতা বাহারের সংগে মিশে প্রায় এক হাজার আটশত সবুজ প্রাণ শিশুর কলকাকলীতে মুখরিত বিদ্যালয়টি সবার ভাল লাগার প্রতীক হয়ে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে স্কুলটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ‘‘মডেল স্কুল’’ এবং কিশোরগঞ্জ তথা সমগ্র বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত।
১৯৬৭ সালে কিশোরগঞ্জে ছোট্ট সোনামনিদের জন্য মানসম্মত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব কিশোরগঞ্জের আপামর জনসাধারণ অনুভব করেন। তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক জনাব এস.এ. বারী, পৌর চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল খান, ডা. শরফুদ্দীন আহমেদ, স্থানীয় এস.ভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বেগম রাজিয়া হোসাইন, অধ্যক্ষ ওয়াসীমুদ্দীন, অধ্যাপক জিয়া উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সক্রিয় ভূমিকায় কিশোরগঞ্জ কিন্ডার গার্টেন নামে এই বিদ্যালয়টি আত্মপ্রকাশ করে স্থানীয় এস.ভি. বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। তখন বিদ্যালয়ের সময়সূচী ছিল সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যমত্ম। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার প্রদত্ত জমিতে ১৯৬৭ সনের ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার এক বর্ষণমুখর দিনে ময়মনসিংহের তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব খোরশেদ আলম, সি.এস.পি. বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের ভিত্তি প্রসত্মর স্থাপন করেন। মাত্র ৫৫ জন ছাত্রছাত্রী ও অধ্যক্ষ মিস জহিরম্নন্নেছা, মিসেস খালেদা ইসলাম, মিসেস সাজেদা বেগম এই তিন জন শিক্ষক নিয়ে বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে স্বতস্ফুর্তভাবে এগিয়ে এলেন এলাকাবাসী। কেউ দিলেন নগদ অর্থ, কেউ দিলেন ইট, কেউ দিলেন সিমেন্ট। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি প্রত্যেকের দোরগোড়ায় গিয়ে সাহায্য চাইলেন। বিদ্যালয়ের ভৌত সুবিধার জন্য স্থানীয় ব্যাংক ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের কাছে আবেদন জানানো হল। তৎকালীন ইউনাইটেড ব্যাংক পাঁচ হাজার টাকার আসবাবপত্র দিয়ে শ্রেণী কক্ষগুলো সুসজ্জিত করে। কিন্তু আর্থিক অসুবিধার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা ব্যাহত হয়। ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা আশানুরূপ বৃদ্ধি না পাওয়ায় পৌরসভা বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। এবার বিদ্যালয়ের নামকরণ হলো ‘‘কিশোরগঞ্জ আদর্শ শিশু বিদ্যালয়’’। ১৯৭৩ সালে সরকার ঘোষিত নীতিমালায় আবারও নাম পরিবর্তন হয়ে স্কুলটির নামকরণ হয় ‘‘সরকারী আদর্শ শিশু বিদ্যালয়’’।
ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা (শ্রেণীভিত্তিক) |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||
পাশের হার |
|
বিগত ৫ বছরের সমাপনী |
বিগত ৫ বছরের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা | ||||||||||||||||||||||||||||||
পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল |
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা |
শিক্ষা বৃত্তির তথ্য |
১৯৭৩সন থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা |
অর্জন |
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা |
অর্জন |
|
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা | ১৮৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীর স্থান সংকুলান হয় না বিধায় বিদ্যালয়টিকে একটি ৫ তলা ভবনে উন্নীত করার পরিকল্পনা আছে। তাছাড়া প্রত্যেকটি শ্রেণী কক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভবিষ্যতে পাঠদান করার পরিকল্পনা আছে। |
যোগাযোগ (ইমেইল এড্রেস, ফোন, মোবাইল, ফ্যাক্স সহ) | ফোন : 0941-61820 মোবাইল : 01718 16 20 60 |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস