আগামীকাল দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা সেবা সপ্তাহ। স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি গ্রহণকারীর অগ্রগতি দ্রুত বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই সেবা সপ্তাহ পালিত হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি সেবা কেন্দ্র, এনজিও ও প্রাইভেট সেক্টরের সব সেবা কেন্দ্রে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হবে।
এ উপলক্ষে গতকাল পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকালে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অধিদফতরের মহাপরিচালক একেএম আমির হোসেন, অধিদফতরের ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান, পরিচালক (আইইম) গণেশ চন্দ্র সরকার, পরিচালক (অর্থ) জহির উদ্দিন বাবর, পরিচালক (এমসিএইচ) ডা. মোহাম্মদ শরীফ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাঠপর্যায়ে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ১৩ শতাংশ। ২০১৬ সালের মধ্যে এই হার ২০ শতাংশে আনয়ন করার লক্ষ্যেই এই সেবা দিবস পালন করা হচ্ছে।
ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির অগ্রগতি এখনও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পেঁৗছায়নি। তবে এ পদ্ধতিকে আরও জনপ্রিয় করতে স্বল্প বাজেটের মধ্যে যতখানি সম্ভব প্রচার করা হচ্ছে।
তিনি জানান, স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে বাংলাদেশে পুরুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশব্যাপী এ পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে পুরুষের স্বাভাবিক দাম্পত্যজীবনে কোন বাধা আসে না।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে মাহবুবুর রহমান বলেন, পুরুষের বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি অনুসরণের পর প্রথম তিন মাস তাদের অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়। অজ্ঞতার কারণে অনেকে তা মানেন না। ফলে তাদের স্ত্রীরা অপরিকল্পিত গর্ভধারণ করেন।
জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ সামগ্রীর অভাব নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যে পরিমাণ উপকরণ সামগ্রী এখনও মজুদ আছে তা দিয়ে আগামী দুই বছর চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
একেএম আমির হোসেন বলেন, অধিদফতরে ১ হাজার ৪শ চিকিৎসক পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৫৮০ জন চিকিৎসক। এছাড়া মাঠ পর্যায়েও কর্মীস্বল্পতা আছে। তারপরও অধিদফতর তাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের অনিয়ম প্রসঙ্গে মাহবুবুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেই কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS